
সভাপতি মেহেদী, সম্পাদক জাহেদ
লোহাগাড়া রিপোটার্স ইউনিটির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন
দক্ষিণ চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী সাংবাদিক সংগঠন লোহাগাড়া রিপোটার্স ইউনিটি’র দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টায় লোহাগাড়ার মাশাবি রেস্টুরেন্টের হল রুমে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। গোপন ব্যালটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে সভাপতি পদে হোছাইন মেহেদী (দৈনিক সময়ের আলো ও দৈনিক কর্ণফুলী) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে জাহেদুল ইসলাম (দৈনিক যুগান্তর) নির্বাচিত হন।নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন আলহাজ্ব মোস্তাফিজুর রহমান কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আবু তাহের। নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহপীর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু বকর এবং বার আউলিয়া ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া শিক্ষক মো. আলমগীর।
নির্বাচন শেষে বিকেলে সকল সদস্যের সম্মতিক্রমে সংগঠনের সাত সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়। যথাক্রমে- সহ-সভাপতি মোহাম্মদ মারুফ (দৈনিক আজাদী), সাংগঠনিক সম্পাদক পদে খলিল চৌধুরী (দৈনিক বায়ান্ন), অর্থ ও দপ্তর সম্পাদক তাজ উদ্দিন (ইনকিলাব), প্রচার, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (একুশে পত্রিকা)। কার্যনির্বাহী সদস্য এরশাদ হোছাইন (ভোরের কাগজ)।
নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেন চট্টগ্রাম রিপোটার্স ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি কিরন শর্মা, বান্দরবান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এম.এ রহিম, ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম, জসিম উদ্দিন প্রমূখ।
নির্বাচন পরবর্তী সংক্ষিপ্ত আলোচনায় চট্টগ্রাম রিপোর্টাস ইউনিটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, মফস্বলের সাংবাদিকরা গ্রামীণ সংবাদ পরিবেশন করে গণমাধ্যমকে সমৃদ্ধ করে চলেছে। অথচ সংবাদ পরিবেশনায় মফস্বল সাংবাদিকদের সংবাদকে সেভাবে গুরুত্ব দেয়া হয়না। সংবাদের শিকর হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের উৎপাদন-উন্নয়ন, ঘটনা-দূর্ঘটনা,সৃষ্টিশীল সকল বিষয়। এসব নিয়ে মফস্বল সাংবাদিকরা জাতির কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরে। মফস্বল সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে অনেক সময় নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পরেন। ঐসময় নিজস্ব সংবাদ মাধ্যম প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কিংবা সহযোগিতা করেননা। দেশে -বিদেশে অনেক সাংবাদিক পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মামলা -হামলার শিকার হন। গত কয়েক বছরে কয়েক শত সাংবাদিক পেশাগত
দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন। তারপরও মফস্বলের সাংবাদিকরা নিজস্ব দায়িত্ববোধ নিয়ে দেশের ও জাতির কল্যাণে সংবাদ পরিবেশন করে থাকে। সত্য সংবাদ পরিবেশনে যদি নিজস্ব গণমাধ্যম প্রচারে অনীহা দেখায়,তাহলে বর্তমান প্রেক্ষাপটে সোস্যাল মিডিয়ায় হলেও প্রকৃত সংবাদ জাতির কাছে তুলে ধরা উচিত। একথা বলতে দিধা নেই, এখন গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে। বিভিন্ন পরিস্থিতি মোকাবেলা করে সংবাদ পরিবেশন করতে হয় মফস্বল সাংবাদিকদের। বাস্তব পরিস্থিতিতে মফস্বল সাংবাদিকের বেতন কিংবা ভাতা দেয়া চালু করতে হবে এবং রাষ্ট্রকে সকল পর্যায়ের গণমাধ্যম কর্মীর সংখ্যা নিরূপণ করে সামাজিক বেস্টনির আওতায় রাস্ট্রীয় পর্যায় থেকে আর্থিক সাপোর্ট দিতে হবে।
প্রসঙ্গত, লোহাগড়া রিপোর্টার্স ইউনিটি গঠনের লক্ষ্যে গত ১৮ জুলাই খলিল চৌধুরীকে আহবায়ক ও হোছাইন মেহেদীকে সদস্য সচিব করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট লোহাগাড়া রিপোটার্স ইউনিটির আহবায়ক গঠন করা হয়েছিল।
