লালমোহনে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলার বিরুদ্ধে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ।
ভোলার লালমোহন বাজার চৌরাস্তার মোড়ে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের আগ্রাসনের বিরোধ্বে সর্বস্তরের মুসলমানগণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।সমাবেশ থেকে ইজরাইলের সকল পন্য,ইহুদিদের সকল পন্য সহ ভারতের সকল পন্য বয়কটের মাধ্যমে ইহুদিদের অর্থনৈতিক ধ্বংসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের মানুষের পাশে দাড়াতে আহবান করা হয়।এবং আগামী দুই দিনের মধ্যে লালমোহনের সকল বাজারের সকল দোকান থেকে ইহুদিদের সকল পন্য সরিয়ে ফেলার জন্য আহবান করা হয়।সমাবেশের বক্তব্য রাখেন লালমোহন উত্তরবাজার বাইতুল রেদওয়ান জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মুফতি মাওলানা মইনুল ইসলাম সাহেব। বক্তব্য রাখেন লালমোহন করিম রোড জামে মসজিদের সম্মানিত ইমাম হযরত মাওলানা সানাউল্লাহ সাহেব, সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামি খেলাফত আন্দোলন লালমন উপজেলা শাখা।এছাড়া ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণের মধ্য থেকে বিভিন্ন আলেমগণ বক্তব্য রাখেন।বক্তব্য আরো বলা হয় আগামী দু দিনের মধ্যে লালমোহনের সকল দোকান থেকে ইসরাইলি পণ্য, ইহুদিদের পণ্যসহ ভারতীয় পণ্য সামগ্রী না সরালে অভিযান চালিয়ে সেগুলি সরানোর ব্যবস্থা করা হবে।বক্তব্যে বলা হয় আমরা মুসলমান জাতি হিসেবে অন্য মুসলমান ভাইয়ের বিপদে সাহায্য করা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব।আমরা ফিলিস্তিন গিয়ে যুদ্ধ করতেনপারবো না কিন্তু আমরা এখান থেকে প্রতিবাদ জানানোটা আমাদের ঈমানের দায়িত্ব। না হয় কাল কেয়ামতের মাঠে আমাদেরকে এর জন্য আল্লাহর দরবারে জবাবদিহি করতে হবে।বক্তব্য বক্তারা বলেন আমরা এতদিন সৌদি আরবের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আমরা এতদিন আরব আমিরাতের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আমরা আবুদাবি দুবাইয়ের দিকে তাকিয়ে ছিলাম, আমরা মিশরের দিকে তাকিয়ে ছিলাম এখন আর আমাদের কারো দিকে তাকানোর সময় নেই।আমরা একমাত্র কেবল মাত্র আল্লাহর দিকে তাকিয়ে দোয়া করতে থাকব , আল্লাহ পাক যেনো কুদরতি ভাবে সাহায্য করেন। আমাদের ঈমানী দায়িত্ব হিসেবে আমাদের যুদ্ধে নেওয়ার সময় এসে গেছে আমরা জিহাদ করতে প্রস্তুত আমরা আমার মুসলমান ভাইয়ের জন্য রক্ত দিতে প্রস্তুত।পরিশেষে ফিলিস্তিনি নিহত আহত মুসলমান ভাই-বোনদের জন্য দোয়া মোনাজাতের মাধ্যমে সবার সমাপ্তি ঘোষণা করেন লালমোহন উত্তর বাজার বাইতুর রেদওয়ান জামে মসজিদের সম্মানিত খতিব মুফতি মঈনুল ইসলাম।