
বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৫৪ বছর এবং উপজেলা পরিষদ সৃষ্টির ৪৩ বছর পরও রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলায় মানসম্মত এবং প্রয়োজন পূরণের মতো একটি রেস্ট হাউজ তৈরী হয়নি। যার ফলে উপজেলা প্রশাসনের দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের বিভিন্ন সময়ে বেগ পোহাতে হয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবস্থান করা এবং থাকার ব্যবস্থা করার বিষয় নিয়ে।
এছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্মাণাধীন সীমান্ত সড়কটি রাজস্থলী উপজেলার মধ্য দিয়ে তৈরী হওয়ায় এই উপজেলায় প্রতিদিনই শতশত পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের ভীড় জমে। এই পর্যটকদের থাকার বা রাত্রিযাপনের চাহিদা পূরণেও এই উপজেলায় নেই তেমন কোন ব্যবস্থা। যার ফলে পর্যটন সম্ভাবনা থাকলেও এই উপজেলায় ভ্রমণের জন্য দর্শনার্থীদের আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

এই বিষয়ে রাজস্থলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সজীব কান্তি রুদ্র দৈনিক আমার দেশ প্রতিনিধিকে জানান, আমরা অনেক আগে নির্মিত কয়েকরুমের ভঙ্গুর এবং একমাত্র রেস্ট হাউজে আমাদের সব ধরনের অতিথিদের থাকার ব্যবস্থা করি। যেখানে সকল আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সকল উপকরনের অবস্থার বেহাল দশা। এটা সংস্কার করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি যাতে আমাদের রাজস্থলী উপজেলায় একটি মানসম্মত রেস্ট হাউজ তৈরী করা হয় এবং এর সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়।
স্থানীয় এবং উইকিপিডিয়ার তথ্যমতে ব্রিটিশ শাসনামলে ১৯০৯ সালে রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী থানার সৃষ্টি হয়। এরপর বাংলাদেশ স্বাধীনের ১২ বছর পর প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণের ফলে ১৯৮২ সালে এই থানাকে উপজেলায় রুপান্তরিত করা হয়।
