
ফটিকছড়িতে মোহাম্মদ মহিউদ্দিন (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে জখম করেছে ডাকাতদল। এ সময় টাকা, স্বর্ণলংকারসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় তারা।
রবিবার (২ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাতে উপজেলার সুয়াবিলের উত্তর হাজিরখীলের ফয়েজ আহমদ সওদাগর বাড়ির জনৈক মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন ননির ঘরে এ ঘটনা ঘটে।

ডাকাতদল ৫ ভরি স্বর্ণ, ৫টি মোবাইল ফোন, প্রায় ১ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায় বলে জানান মহিউদ্দিনের ভাই মোহাম্মদ মাসুম।
স্থানীয়রা জানান, রাত আনুমানিক ২টার সময় ১০-১৫ জনের স্বশস্ত্র ডাকাতদল বাউন্ডারি ওয়াল টপকিয়ে বাড়ির মেইন দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর কয়েকজন ডাকাত ঘরের নিচতলায় ঘুমন্ত মাঈনুদ্দীন (ননী) এর ছোটভাই মহিউদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে ও তার মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে তার হাত-পা বেঁধে ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং লাঠিসোটা দিয়ে বেধম প্রহার করে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন।

অপরদিকে কিছু ডাকাত তাঁর মায়ের কক্ষে প্রবেশ করে তাঁর মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং মা-ছেলে দুজনকে একটি কক্ষে আবদ্ধ করে। এরপর ডাকাতেরা নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকারের খুঁজে ডুপ্লেক্স ঘরের নিচতলায় প্রতিটা কক্ষের দরজা, আলমিরা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। তাঁর বৃদ্ধ মায়ের গলার স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। পরবর্তীতে ডাকাতেরা দ্বিতীয় তলার প্রায় প্রতিটি কক্ষের ভাংচুর ও লুটপাট করে। এলাকার মানুষ ডাকাতির বিষয় জানতে পারলে ডাকাত দল মেইন গেইটের চাবি নিয়ে গেইট খুলে স্বাভাবিকভাবে হেঁটেই দক্ষিণ-পূর্ব (মন্দাকিনী-নাজিরহাট) দিকে চলে যায়।
মহিউদ্দিনের ভাই মোহাম্মদ মাসুম বলেন, আমরা ভূজপুর থানাকে এ ব্যাপারে অবগত করেছি। থানা থেকে পুলিশ এসে পরিদর্শন করে গেছেন।

ভূজপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহবুবুল হক বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থাল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ দায়ের হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।