উখিয়ার মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী পুতুল রানী বড়ুয়ার মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যায় নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান দীপক বড়ুয়া।
২৬ জানুয়ারি ২৫ইং, রবিবার বান্দরবান প্রেসক্লাবে "ইমন হত্যা মামলার আসামী দীপক বড়ুয়া বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা অব্যাহতির চেষ্টার প্রতিবাদ" নামক একটি প্রেস ব্রিফিং করেছে উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়া। উক্ত প্রেস বিফ্রিংটি আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিং-এ আমিও আমার পরিবার বিএনপির নাম ভাঙ্গিয়ে মামলা থেকে অব্যাহতির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি বলে উল্লেখ করেছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। মুলত গত ২৪ এপ্রিল ২০১৯ সালে জায়গাজমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে সামান্য কথা কাটাকাটির জেরে মৃত. ভবতোষ এর ছেলে ইমন বড়ুয়া (৩৫) মদ্যপ অবস্থায় এলাকার কিছু মানুষের সাথে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে মারামারিতে লিপ্ত হয়ে আহত হন। পরবর্তী আহত অবস্থায় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করে।
এরই সূত্র ধরে ২৫ এপ্রিল উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পুতুল রানী বড়ুয়া'র মেয়ে ও কক্সবাজার পৌর যুবলীগ সভাপতি ডালিম বড়ুয়ার স্ত্রী তান্নি বড়ুয়া বাদী হয়ে ৭জনের বিরুদ্ধে নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় জি/আর: নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ১৩০/২০১৯, দায়রা জজকোর্ট মামলা নং: ৭৭/২০২১ ধারায় একটি হত্যা দায়ের করে। উক্ত মামলায় আমাকে ১নং আসামি করা হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে ঘটনার দিন আমি কক্সবাজারস্থ নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলাম। আগে কিংবা পরেও ঘটনাস্থলে আমি যাইনি। মামলায় আরো যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের অনেকে সেই দিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলনা।
আমি ইমন হত্যাকান্ডে কোনভাবেই জড়িত ছিলামনা। আমার ব্যবহৃত মুঠোফোনের ২টি সীমের নাম্বার ট্র্যাকিং করলে এটা প্রতীয়মান হবে যে আমি ঘটনার দিন কক্সবাজার নিজ বাসভবনে অবস্থান করছিলাম।
প্রেস বিফ্রিং-এ আমাকে আওয়ামী দোসর হিসেবে উল্লেখ করেছে পুতুল রানী বড়ুয়া, যা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার শামিল। আমি ১১ বছর ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলাম। সে সুবাধে একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সাথে আমার ছবি থাকতে পারে, তাই বলে আমাকে আওয়ামী ট্যাগ দেওয়া সেটি অত্যন্ত দুঃখজনক! কেউ যদি আওয়ামীলীগের কোন কমিটিতে আমার নাম দেখাতে পারে তাহলে আমি সকল শাস্তি মাথা পেতে নেব।
উপরন্তু পুতুল রানী বড়ুয়ার জামাতা ডালিম বড়ুয়া আওয়ামী সরকারের আমলে ক্ষমতার অপব্যবহার করে কক্সবাজার ও ঘুমধুমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছিল। ডালিম বড়ুয়ার ইন্দনে মুলত আমি সহ আমার অপরাপর ভাইদের হত্যা মামলার আসামি করা হয়। পুতুল রানী বড়ুয়াও উখিয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্বরত আছেন।
পুতুল রানী বড়ুয়া'র মিথ্যাচারে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিভ্রান্ত না হওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি।
পাশাপাশি সুষ্টু তদন্ত পূর্বক তান্নি বড়ুয়া'র দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার সহ আওয়ামী গডফাদার ডালিম বড়ুয়া'কে আইনের আওতায় আনতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
প্রতিবাদকারী
বাবু দীপক বড়ুয়া (দীপু)
সাবেক চেয়ারম্যান: ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ
নাইক্ষ্যংছড়ি, বান্দরবান।