
গতকাল ১৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার ভোর ৫ টায় রাঙ্গুনিয়া গোডাউন চয়েস এন্টার প্রাইজ এর আইস ক্রীম ফ্যাক্টরী দুর্বৃত্তদের আগুনে ভষ্মীভূত হয়েছে। এতে প্রতিষ্ঠানের মালামাল ও অবকাঠামো সহ প্রায় দেড় কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পরিবার সুত্রে জানাগেছে।
রাঙ্গুনিয়া ফায়ার স্টেশন কর্মকর্তা জাহেদুর রহমান জানান, গোডাউন এলাকায় আইসক্রিমের কারখানায় আগুনের খবর পেয়ে তৎক্ষনাৎ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে। আগুন নির্বাপণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এক ঘন্টার মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও কোন মালামাল রক্ষা করতে পারেনি। এতে প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হলেও সম্পুর্ণ পরিমাপ করা সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় সুত্র ও সরেজমিনে দেখাগেছে,এ
প্রতিষ্ঠানের স্যাভয় ও পোলার আইসক্রিমের ডিলারের পাশাপাশি নিজস্ব ব্রাণ্ডের আইসক্রিম উৎপাদন করা হতো। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নির্ণয় করা যায়নি।
তবে প্রতিষ্ঠানের জায়গাটি কিছু মানুষের নজরে ছিল। কয়েকদিন ধরে একটি মহল প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে জমি দখলের চেষ্টা অব্যহত ছিল বলে সুত্র গুলো প্রকাশ করে।
অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির মধ্যে ছিল, ২৫টি ডিপ ফ্রিজ (৭৭০লিটার), ৩টি সিএনজি, ১২টি ভ্যান গাড়ি, ১০টি অটো গাড়ি, ক্যাশ টাকা ১লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, স্যাবয় ও পোলার আইসক্রিম ডিলারশিপের ২০ লক্ষ টাকার মালামাল, ড্যানিজ, প্রাণ ড্রাই ফুড ১০ লক্ষ টাকার, কম্পিউটার ও অফিসিয়াল সরঞ্জাম ও সিসি ক্যামরাসহ ৮ লক্ষ টাকা
তাছাড়া রয়েছে মোটর সহ মেসিনারিজ ২০লক্ষ টাকার, ৭ শতক জায়গায় নির্মিত অবকাঠামোর মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকাসহ ১কোটি ৫০ লক্ষ টাকার সম্পদ সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
এব্যাপারে চয়েস এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মাহাবুবুর রহমান এপ্রতিবেদক জানায়, কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা তিনি জানেন না। প্রতিষ্ঠানের আশেপাশে গাছের ওপরে লাগানো সিসিটিভি ক্যামেরাগুলোও সুকৌশলে সরিয়ে নিয়ে তারপর দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে। সম্প্রতি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফ্যাক্টরীর জায়গাটি পরিদর্শন শেষে বলেন, ফ্যাক্টরির জায়গাটি পানি উন্নয়ন বোর্ডের, এবং ইউএনও’র সাথে যোগাযোগ করার জন্য মৌখিক আদেশ দেওয়ার এক সাপ্তাহ যেতে না যেতে দুর্বৃত্তরা আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এতে নিস্ব হয়ে অবশেষে গতকাল রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি অবহিতকরণ নামে একটি আবেদন জমা দিয়েছে।
