
শিলক মিনাগাজীর টিলা গ্রামের জনগনের আবেদনের ৮ বছর পর, দক্ষিন পাড়ার চলাচল রাস্তা অবশেষে ভোগদখল মুক্ত করল এলাকাবাসিরা। গত ১০ জানুয়ারী গ্রামের শতাধিক মুসল্লি জুমার নামাজ শেষে উচ্ছেদ কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন।
সরেজমিন ও এলাকাবাসিরা জানায়, শিলক ইউনিয়নের মিনাগাজী টিলা দক্ষিন পাড়ার এ রাস্তা দিয়ে ৩০ পরিবার দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছিল। গত ৮ বছর পূর্বে ২০১৫ সালে স্থানীয় আওয়ামীলীগের সহযোগিতা নিয়ে রাস্তার পাশের ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাতের পরিবার লিজ নিয়েছে প্রচার করে একটি টিনসেট ঘর নির্মাণ করায় এলাকাবাসির চলাচলে মারাত্নক সমস্যার সৃষ্টি হয়। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন এলাকাবাসী। এই রাস্তাটি সরকারি অর্থায়নে কয়েক দফা সংস্কার হয়েছিল। কিন্তু রাস্তা সংকুচিত হবার কারনে ৮/৯ ফুটের রাস্তা হলেও এখন ৪ ফুটে এসে ঠেকেছে। দুর্ভিসহ জীবনকে হুমকি নিয়ে চলছে নিত্য চলাচলের ঝুঁকি। এলাকায় কেউ মারা গেলে মৃত মানুষের লাশ বাহির করে নিয়ে আসা এমনকি হাটার জায়গা টুকু পযর্ন্ত রাখা হয়নি। কোন বাড়িতে আগুন লাগলে অগ্নি নিবারক গাড়ি প্রবেশের ও বহরের কোনো সুযোগ নেই।
২০১৮ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) বরাবরে উচ্ছেদের আবেদন করা হয়। কিন্তু শতাধিক স্বাক্ষরিত জনগনের পক্ষে এ আবেদন গত ৮ বছরেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি উপজেলা প্রশাসন। গত ৫ আগষ্টের পর আরো একটি আবেদন করা হয়েছিল কিন্তু এতে কোন সুফল আসেনি। এতে স্থানীয় মুসল্লিরা প্রশাসনের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলাকাবাসির দাবির মুখে মসজিদ কমিটিকে সাথে নিয়ে রাস্তার পাশে নির্মিত টিনসেট ঘর উচ্ছেদ করে।
এদিকে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি লিয়াকত আলী তালুকদার ও শিলক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোকারম হোসেন বান্টু মেম্বার এ প্রতিবেদকে জানায়, সরকারের প্রশাসন যেখানে ব্যর্থ, সেখানে মুসল্লিরা গাছ- গাছালি কেটে শিলক ইউনিয়নের মিনাগাজীর টিলা গ্রামের দক্ষিন পাড়া গ্রামের জনগনের চলাচল রাস্তা ভোগ দখল মুক্ত করল। একটি পরিবারের কারনে আজ মুক্ত হলো রাস্তাটির উপর চলাচল স্বাভাবিক বাধাহীন জীবন। তাছাড়া একটি মহল দলের ভাবমুক্তি ক্ষুন্নকরতে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, যাহা কোন ভাবে মেনে নেয়া যায়না। আমরা দলের পক্ষে তাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
এব্যাপারে ইঞ্জিনিয়ার সাজ্জাদ হোসেনের সাথে কথা বলে জানাযায়, তার পিতা মরহুম উকিল আহমদ বিগত ১৯৮৫ সালে মিচ্ মকাদ্দমা-১৪১/(৭২-৭৩) আইনে একসনা একটি ইজারা নিয়ে ছিলেন, সে সুবাদে আজ ৪০বছর অব্দি দখলে আছি। সরকার চাইলে দিয়ে দেব, মসজিদ কমিটির দোহাই দিয়ে ভাঙ্গলো কেন, এটা আইন ভাঙ্গার সামিল, আমরা আইনের আশ্রয় নেব।
