
পার্বত্য জেলা রাংগামাটির লংগদুতে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বক্তব্য দেওয়ার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।
আজ ২২ ডিসেম্বর (রবিবার) সকাল এগারোটায় লংগদু প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবুল কালাম আজাদ লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এবং সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এসময় তারা বলেন, কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জনাব মোঃ আব্দুল বারেক দেওয়ান গত (১৯ ডিসেম্বর) রাস্তার মানববন্ধনকালে দেয়া ব্যক্তব্যের প্রতিবাদে আজকের এই সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন।

প্রিয় সাংবাদিক/ মিডিয়াকর্মীবৃন্দ, আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র লংগদু উপজেলা সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক হই। অত্যান্ত দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে, গত ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার ২নং কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়নে রাস্তার দাবীতে একটি মানববন্ধন করা হয় । সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লংগদু উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং তার উপস্থিতিতেই কালাপাকুজ্জ্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল বারেক দেওয়ান এভাবেই বলেন যে, ৫ই আগষ্ট দল বারেক দেওয়ান এর বক্তব্যে লংগদু উপজেলা বিএনপির সভাপতি/সম্পাদককে জড়িয়ে বলেন দল ক্ষমতায় আসার পর তোফাজ্জল ও কালাম এর নেতৃত্বে চাঁদাবাজি করছেন। যাহা ভিত্তিহীন, মিথ্যা ও বানোয়াট অপপ্রচার মাত্র। যাহাতে দলের ভাবমূর্তি চরম ভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাহার এমন বক্তব্যের বিপরীতে আমরা জায়ীয়তাবাদী দল (বিএনপি) পরিবার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি। ৫ই আগষ্ট এর পরে লংগদু উপজেলা বিএনপির সাথে অন্য কোন দলের সাংঘর্ষিক কোন ঘটনা ঘটেনি। উপজেলা বিএনপির নেতৃত্বে সকল সম্প্রদায়ের জন সাধারণের সাথে সু-সম্পর্ক বজায় রয়েছে। অথচ তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন ৫ই আগষ্ট এর পর দল স্বৈরাচারী হয়েছে যাহা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন । তাহলে আমাদের দল কখন ক্ষমতায় আসলো এবং কিভাবে স্বৈরাচারী হলো ?
প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ আমরা আপনাদের মাধ্যমে এর ব্যাখ্যা জানতে চাই তার কাছে । অথচ তিনি গত আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের সময় স্থানীয় পাঁতানো ইউপি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। যাহা দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে আমরা মনে করি। তাহার এ ধরনের বক্তব্যে দলের নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এমতাবস্থায় তার এহেন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন, বক্তব্য প্রদানের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদসহ দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির জোর দাবী জানাচ্ছি। তার এসব ভিত্তিহীন বক্তব্যের সাথে আমাদের কোন সংশ্লিষ্টতা নেই।

তারা বলেন, কথিত বক্তব্যে যে বিষয় গুলোর কথা বলা হয়েছে, তার বিষয়ে আমরা/ আমাদের কোন পূর্ব ধারণা ছিল না, বরং আলোচ্য ঘটনাগুলোর বিষয় জানার পর আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি। কেবল কিছু স্বার্থান্বেষী মহলের রাজনৈতিক স্বার্থকে হীন চরিতার্থ করার জন্য এবং আমি ও আমার প্রিয় রাজনৈতিক সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র সম্মানকে নস্যাৎ করার জন্য এই ধরনের অপবাদ মূলক বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।