
অবশেষে সিআইডিতে হস্তান্তর চাঞ্চল্যকর কলেজছাত্র জয়দীপ হ’ত্যা মামলা।
২০২১ সালের ৩০ নভেম্বর মঙ্গলবার ভোর রাতে চট্টগ্রাম নগরীতে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় মিরসরাই কলেজের ছাত্র কক্সবাজারের জয়দীপ দাশকে।
জানা যায়, ২৯ নভেম্বর সোমবার বিকাল থেকেই ০১৭৯৮১৯৭৬২৫/ ০১৭৯৪ ৩৭৩৬২৩ নাম্বার থেকে উসান ও উৎস নামে দুইভাই নিহত জয়দীপকে বার-বার ফোন করে জানায় এলাকার অপু দাশের ভাইয়ের বিয়েতে যেতে হবে, জয়দীপকে বিনা দাওয়াতে অনেকটা জোর করে কক্সবাজার থেকে বরযাত্রী হিসেবে পটিয়া এইচকে কনভেনশন হলে নিয়ে আসে বন্ধু অনিরুদ্ধ বড়ুয়া উসান।
পরিকল্পনা মাফিক ঐ বিয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে যোগ দেয় উসানের পূর্বপরিচিত চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার ত্রাস শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ ওরফে শাহিন, পিতা শাহআলম মাতা রেহেনা বেগম, সাং গন্ডামারা বাশখালী চট্টগ্রাম সহ অজ্ঞাত আরও ২ জন।

পরবর্তীতে ঐ ২ জনকে রেখে রাত ১ টার পরে মাঝখানে জয়দীপ ও পেছনে উসান বড়ুয়াকে নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উদ্দেশ্য রওনা দেয় শহিদুল ইসলাম ওরফে সাজ্জাদ , রাত দেড়টায় নগরীর কোতোয়ালি থানা এলাকায় জয়দীপকে মোটরসাইকেলের মাঝখানে বসানোর একটি ভিডিও ধারন করে পেছনে বসা আসামি উসান বড়ুয়া নিজে, ভিডিও ধারনের পরপরই বন্ধ করা হয় তাদের ব্যবহৃত মোবাইল।
রাত ৩ টা ১৩ মিনিটে জয়দীপের ফোনে ০১৫১৬৩৪০৪৬৮ নাম্বার থেকে অমিত নামক উসানের আরেক বন্ধু কল দিয়ে ১৩ সেকেন্ড কথা বলেন, যদিও তার আগেই মারা যান জয়দীপ।

মৃত্য নিশ্চিত হওয়ার পরে রাত সাড়ে ৪ টায় বিভিন্ন স্বজনদের মাধ্যমে জয়দীপের পরিবারকে জানানো হয় সড়ক দুর্ঘটনায় জয়দীপ মারা গেছে লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেলে আছে।
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেলের জরুরি বিভাগের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় সড়ক দুর্ঘটনার কথা বলা হলেও সম্পুর্ন অক্ষত রয়েছে তাদের বহনকারী মোটরসাইকেল, এবং ড্রাইভ করা শহিদুল ইসলাম ও পেছনে বসা উসান বড়ুয়া, অক্ষত রয়েছে সবার শরীরে পরিধেয় পোষাকাদী।

জনমনে প্রশ্ন থেকে যায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মাঝখানে থাকা জয়দীপের শরীরের পেছনে ও মাথায় আঘাত পেয়ে মারা গেলে সামনে-পেছনের বসা দুজন কি করে এত নিখুঁতভাবে অক্ষত থাকে।
এ ঘটনায় জয়দীপের মা শিক্ষিকা জয়শ্রী পাল বাদী হয়ে ২০২২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন, মামলার ১ আসামি শহিদুল গ্রেফতার হলে ৩ দিনের রিমান্ড দেয় আদালত, আসামির ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে ঘটনা সমপর্কে মিথ্যা তথ্য ও সত্য গোপন করায়, আদালতে নারাজি আবেদন করেন বাদীনি।

এরই মাঝে আসামির ১ বছরের জামিন হওয়ায় হতাশ নিহতের পরিবার।
বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে বর্তমানে মামলাটি সিআইডিতে হস্তান্তর করেন আদালত।
তিনি আরও জানান ২ নং আসামির পিতা কক্সবাজারের প্রভাবশালী আ.লীগ নেতা হওয়ায় বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব কাটিয়ে মামলাকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করার অপচেষ্টা করেছেন।
আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা, আমি অসহায় আমি রাষ্ট্রের কাছে আমার একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার চাই।