
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ হত্যাসহ তিনটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুন্সি আবদুল মজিদ এ রায় দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় মাসেদুল হক রাশেদের বিরুদ্ধে ওই তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিকে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও জামিন দেওয়ায় কক্সবাজার আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণে যান তারা। সেখানে বিভিন্ন স্লোগান দেন বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা। সেখানে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিও জানান তারা। একই সাথে জামিনের প্রতিবাদে আগামীকাল বৃহস্পতিবার কক্সবাজার আদালত ঘেরাও ও ভিক্ষোবের ডাক দিয়েছে কক্সবাজারের বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির অন্তত ৩০ জন আইনজীবী মাসেদুল হক রাশেদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ান।
অ্যাডভোকেট অনিক ইসলাম তার জামিন আবেদনে স্বাক্ষর করেন। কক্সবাজার জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবুল কালাম সিদ্দিকীর জিম্মায় আওয়ামী লীগ নেতা রাশেদের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

মামলাটির জামিন শুনানিতে অ্যাডভোকেট আবুল কালাম সিদ্দিকী ছাড়াও অ্যাডভোকেট শাহজালাল চৌধুরী, অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নানসহ অধিকাংশ জামায়াত-বিএনপিপন্থী আইনজীবী অংশগ্রহণ করেন।
প্রসঙ্গত, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের আজীবন সভাপতি মরহুম একেএম মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদকে গত ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজার বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১৫।
পরে তাকে একে একে ৩টি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
গত ৪ আগস্ট সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিল চলাকালে এক শিক্ষার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ১৭ আগস্ট কক্সবাজার সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সেলিম মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা রুজু করেন। সেই মামলায় আসামি হিসেবে মাসেদুল হক রাশেদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
মাসেদুল হক রাশেদের ছোট ভাই, কক্সবাজার জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুল হক মার্শাল, কক্সবাজার সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েলও একই মামলার আসামি। তারা ৫ আগস্টের পর থেকে পলাতক রয়েছেন।
