
উত্তর চট্টলার অন্যতম প্রাচীন মহাবিদ্যালয় ফটিকছড়ি ইছাপুর বাদশা মিয়া চৌধুরী কলেজের সুধী সমাবেশ, মতবিনিময় সভা,নতুন এডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ সকাল ১১ ঘটিকার সময় জাফতনগরস্থ ইছাপুর বাদশা মিয়া চৌধুরী কলেজ ক্যাম্পাসে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। সকাল ১১ টার সময় কলেজ অধ্যক্ষের কার্যালয়ে সর্বপ্রথম এডহক কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ঘোষিত কলেজ পরিচালনা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে অব্যাহত রাখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মুহম্মদ আনোয়ার পাশা কে সভাপতি এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ের অবসরপ্রাপ্ত এনডিসি, অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম কে বিদ্যোৎসাহী সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেন। এতে প্রতিষ্ঠাতা/ হিতৈষী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী, শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পান ওবাইদুল মতিন শরীফ। অধ্যক্ষের কার্যালয়ে পুরো দায়িত্ব হস্তান্তর অনুষ্ঠানটি সুচারু রুপে বুঝিয়ে দেন কলেজের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন শহীদ অহিদুল আলম। এই এডহক কমিটি আগামী ৬ মাস দায়িত্ব পালন করবেন এরপর কলেজ কনফারেন্স রুমে এক সুধী সমাবেশ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে এলাকার এবং কলেজের অনেক শুভাকাঙ্ক্ষীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া কলেজের সকল অধ্যাপক ও কর্মকর্তা কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিভিন্ন পর্যায়ের বিভিন্ন নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন এবং তারা বিভিন্ন মত বিনিময়ে অংশ নেন। কলেজের শুভাকাঙ্ক্ষীরা বিভিন্ন দিক নির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন।

বিদ্যোৎসাহী সদস্য ও সাবেক সচিব আবুল কালাম বলেন, এই কলেজ আমাদের, এই কলেজ থাকাতে এই গ্রামের জনপদের মেয়েরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে, শিক্ষার আলোয়,আলোকিত হচ্ছে, জাতি শিক্ষিত মা পাচ্ছে। এর চেয়ে বড় সৌভাগ্য আর কি আছে। যারা এই প্রতিষ্ঠান টি দিয়ে গেছে তাদের কে আমরা কৃতজ্ঞতা চিত্রে স্মরণ করি।এলাকাবাসী যেন এই কলেজে তাদের ছেলে মেয়ে দিয়ে কলেজের মান বৃদ্ধি করেন। ওপর দিকে, কলেজের বর্তমান সভাপতি, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত) আনোয়ার পাশা বলেন, সর্বপ্রথম আমরা কৃতজ্ঞতার সহিত স্মরণ করি যারা এই জমি দিয়ে এই কলেজ প্রতিষ্ঠাতা করে গেছেন। আল্লাহ তাদের এটির উত্তম বদলা দান করুক। তিনি বলেন, এই কলেজ আমাদের গর্ব, এলাকার গর্ব, এলাকার সম্পদ। এটির সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষণ আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। এই কলেজের সামনেই অবস্থিত জাহানপুর হাইস্কুলের আমি একজন ছাত্র ছিলাম। এই স্কুলের আমার অনেক শৈশব স্মৃতি জড়িত। তিনি বলেন অল্প সময়ের জন্য এই কলেজের দায়িত্ব পেয়েছি তাই আমি আমার নীতি নৈতিকতা মধ্য দিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করব কলেজের লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধার মানোন্নয়ন বৃদ্ধির জন্য। এই কাজে আমরা সফল হতে হলে সর্বপ্রথম আমার সহযোগিতা লাগবে যারা এই কলেজে অধ্যাপনার দায়িত্ব আছেন আপনাদের। আপনারা আন্তরিক ও শ্রম দিলে শিক্ষার মান বৃদ্ধি পাবে। শিক্ষার মান বৃদ্ধি পেলে চারদিকে সুনাম ছড়িয়ে পরবে। ছাত্র ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। সুতরাং সবাই একই সুতার মালা হয়ে কাজ করবেন এই প্রত্যাশা করি। কলেজের যতটুকু ক্যাচম্যান্ট এরিয়া আছে ততটুকুতে আপনারা ততটুকু এরিয়ায় ভালো সম্পর্ক রাখবেন। আশা করি আমরা সবাই মিলে একটি সুন্দর ক্যাম্পাস করতে পারবো।
এই ব্যাপারে আমি সবার সহযোগিতা কামনা করি। পরিশেষে, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হোসেন শহীদ অহিদুল আলমের সমাপনি বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই সুধি সমাবেশ ও মতবিনিময় সভার শেষ হয়। এই সভার পরো অনুষ্ঠান টি সুন্দর ও সাবলীল ভাবে সঞ্চালনা করেন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
