
“আমার দেশ আমার প্রান” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন শান্তি,সম্প্রীতি ও উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।এছাড়াও বান্দরবান জেলায় বসবাসরত সকল জাতিগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন তথা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।এরই ধারাবাহিকতায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব দূর্গাপুজা উপলক্ষে খাদ্য সামগ্রী বিতরন ও আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করেছে বান্দরবান সেনা রিজিয়ন।মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বান্দরবান সেনা জোন বাস্কেটবল মাঠে খাদ্য সামগ্রী বিতরন ও অনুদান হস্তান্তর করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সেনা জোন এর কমান্ডার ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল এ এস এম মাহমুদুল হাসান,পিএসসি।এদিন হতদরিদ্র ১২০ পরিবার কে দুর্গা পুজার উপহার হিসেবে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।উপহারের প্রতিটি বক্স এ চিনিগুড়া চাল,চিনা বাদাম,গুঁড়ো দুধ,সেমাই,মিষ্টি চানাচুর,নুডলসসহ ১৭ পদের বাহারি শুকনো খাবার ছিলো।এছাড়া ৮টি পুজা মন্ডপ কে আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হয়।

এসময় জোন কমান্ডার বলেন, ‘ধর্ম যার যার উৎসব সবার’ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তার দায়িত্বপূর্ণ এলাকা তথা পাহাড়ি জনপদে শান্তি- শৃঙ্খলা ও সম্প্রীতির বন্ধন সুদৃঢ় রাখার স্বার্থে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।পাশাপাশি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই একযোগে সম্প্রীতির বন্ধনকে অটুট রাখার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কাজ করছে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ভবিষ্যতেও এ ধরনের মানবিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে।
অতীতের ন্যায় ভবিষ্যতেও বান্দরবান জেলায় সর্বত্মক শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার স্বার্থে কাজ করে যাবে বলেও তিনি প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন।বান্দরবান সেনা রিজিয়ন এর জিএসও-৩ ক্যাপ্টেন আব্দুল মান্নান,সেনা জোন এর লেঃ মোহাম্মদ মুস্তাহিদুর রহমান মৃধা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।সেনা রিজিয়ন জানায়,এদিন চার লক্ষ নয় হাজার পাঁচশ টাকা’র উপহার সামগ্রী বিতরন ও আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করা হয়।

প্রসঙ্গত,পার্বত্য চট্টগ্রামের স্থিতিশীলতা রক্ষার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকায় জনসাধারণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন,খাদ্য সমস্যা,মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত স্থানীয় ব্যক্তিদের চিকিৎসা সেবা, দরিদ্র ব্যক্তিদের আর্থিক অনুদান প্রদান করে স্বাবলম্বী হতে সহযোগিতা করার পাশাপাশি দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে দীর্ঘকাল ধরে শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রয়োজনীয় বই শিক্ষা উপকরন বিতরণ করে যাচ্ছে।
এদিকে গত ৪ অক্টোবর শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে মতবিনিময় সভা করেছে পুজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় করেছে বান্দরবান সেনা জোন।মতবিনিময় সভায় জোন কমান্ডার লে: কর্ণেল এএসএম মাহমুদুল হাসান (পিএসসি) বলেন,বান্দরবান একটি সম্প্রীতির জেলা।এখানে দীর্ঘদিন ধরে সকল ধর্মাবলম্বীর মানুষরা তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করে আসছে।এসময় কেন্দ্রীয় দুর্গাপূজা উদযাপন কমিটি আহ্বায়ক রাজেশ্বর দাশ (বিপ্লব) সহ বিভিন্ন পূজা মন্ডপের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।এ বছর বান্দরবান জেলায় ৩১টি পূজা মন্ডপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দূর্গা পূজা।আগামীকাল ৯ অক্টোবর ষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে এবারের শারদীয় উৎসব।ষষ্ঠী অনুষ্ঠানে বান্দরবান ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড় এর কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো.মেহেদী হাসান,এ এফ ডব্লিউ সি-পিএসসি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান পূজা উদযাপন কমিটি।১৩ অক্টোবর প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজা।পূজা ঘিরে নেয়া হয়েছে নিশ্ছিদ্র নিরাপদ বেস্টনি।
