Voice Chattogram

Voice Chattogram

রাঙ্গামাটি জেলা কারাগার ও খাদ্য গুদাম অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ায় প্রতিনিয়ত যানজট, জনদুর্ভোগ চরমে

পার্বত্য রাঙ্গামাটি শহরের সেন্ট ট্রিজার স্কুল ও আনন্দ বিহার এলাকা থেকে খাদ্য গুদাম এবং পার্শ্ববর্তী জেলা কারাগার অন্যত্র সরিয়ে না নেওয়ার ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থা চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে খাদ্য গুদামে যখন খাদ্যশস্য নামানো শুরু হয় তখন একাধারে ৩-৪ দিন রাস্তা দিয়ে চলাচল করা দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে এবং ছোট-খাট দুর্ঘটনা ঘটেই থাকে। খাদ্যশস্য বোঝায় ট্রাক সড়কে সারি সারি যত্রতত্র দাঁড়িয়ে থাকে। এমন কি এই সারিবদ্ধ ট্রাক শহরের দোয়েল চত্বর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তখন যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ হিমশিম খেতে হয়।
জেলা কারাগারের কারণে এলাকাবাসীদের বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার খাদ্য গুদাম ও জেলা কারাগার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর দীর্ঘদিন যাবত দাবি করে আসছিল। তার ওই আলোকে সাবেক সংসদ সদস্য দীপঙ্কর তালুকদার বিভিন্ন সময়ে কথা দিয়েছিলেন যে, খাদ্য গুদাম এবং জেলা কারাগার উন্মুক্ত স্থানে সরিয়ে নেওয়া হবে। জেলা কারাগারের জন্য ভেদভেদী আনসার অফিসের পিছনে এবং শিমুলতলির বিটিভি ভবনের আশেপাশে জায়গা দেখেছিলেন। ঢাকা থেকে আসা জেল কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি উক্ত জায়গাগুলো পছন্দ না হওয়াতে অন্যত্র জায়গা দেখার চেষ্টা চলছিল। রাঙাপানি সুখিনিলগঞ্জ, ঝগড়াবিল ও মানিকছড়ি এলাকায় জায়গা দেখা যেতে পারে।
সাবেক এমপি দীপঙ্কর তালুকদার তার সর্বশেষ নির্বাচনী প্রচারপত্রে তার বাসভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে জোর দিয়ে বলেছিলেন যে, আগামীতে অবশ্যই উক্ত স্থান থেকে খাদ্য গুদাম এবং জেলা কারাগার অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হবে। তিনি নিজে সেন্ট ট্রিজার স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের এবং আনন্দ বিহারে আসা দায়ক দায়িকাদের ধর্মীয় কাজে বাধা সৃষ্টি হয় বলে মত প্রকাশ করে বলেছিলেন, যত দ্রুত সম্ভব জেলা কারাগার ও খাদ্য গুদাম সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত বর্তমানে তিনি নেই। যেখানে এমপি নেই সেখানে তো আর জরুরী কাজকর্ম থেমে নেই।
বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের আমলে হয়তো এই সব কাজ শুরু করা না গেলেও স্থান নির্ধারণ করে অন্যত্র খাদ্য গুদাম এবং জেলখানা সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরী হয়ে পড়েছে। অন্যথায় পরিস্থিতি নাজুক আকার ধারণ করতে পারে। কাজেই বর্তমান প্রশাসনকে আন্তরিকতার সাথে এই ব্যাপারে এগিয়ে আসতে হবে।

Weather Data Source: Wettervorhersage 14 tage

আরো পড়ুন