
সাতকানিয়ায় সাংবাদিকের পৈত্রিক মালিকানাধিন বাগানের গাছ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।
চট্টগ্রাম জেলার সাতকানিয়া উপজেলার, করইয়া নগর, দইল্লার দোকানস্হ আকবর বাড়ির বাসিন্দা।
সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ফয়সালের পিতা ব্যাংকার মরহুম ইলিয়াস চৌধুরীর পারিবারিক সম্পত্তি যার আরএস দাগ নং ১৩২১, বিএস দাগ ৩০২৬ নাম্বারের ৬ গন্ডা জায়গায় ছিল তাদের বনায়নকৃত বিভিন্ন প্রজাতির মুল্যবান গাছের বাগান।

জানা যায় গত ১৬ এপ্রিল ২০২৫ বুধবার সকালে অতর্কিত স্বদল ব’লে এসে জোরপূর্বক বাগানের ছোট বড় গাছ গুলো কেটে নিয়ে গেছে স্হানীয় প্রভাবশালী মোহাম্মদ শাহাজাহান, কাওসার হামিদ,মোহাম্মদ আনিস, ফরিদুল আলম প্রকাশ কালা ফরিদ, মোহাম্মদ ইদ্রিস ওরফে গাছ ইদ্রিস সহ অজ্ঞাত ৫-৬ জনের দলবদ্ধ পেশাদার সন্ত্রাসীরা।
পরেরদিন ১৭ এপ্রিল এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন সাংবাদিক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ফয়সাল।
তিনি অভিযোগে ২ লক্ষ টাকা ক্ষয়ক্ষতি উল্লেখ করেন।
২য় দফায় পরবর্তীতে আরও ৩ লক্ষ টাকার গাছ কেটে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসআই মোস্তাক আহাম্মদ ভয়েস চট্টগ্রাম কে জানান।
ঘটনাস্থলে আমি ৩ বার গিয়েছি, বিবাদীদেরকে বলেছি বাকি গাছ যেন আর না কাঁটা হয়, যেগুলো কাটা হয়েছে ওগুলোতে যেন কেউ হাত না দেয়, কিন্তু বিবাদীরা আমার কথা শুনেনি, পরবর্তীতে সব গাছ কেটে রাতের আঁধারে গাড়ি ভর্তি করে নিয়ে যায়।
যতটুকু জানলাম ওরা অসামাজিক, দেশের প্রচলিত আইন কানুন বিধি মানে না।

প্রতিবেশীদের চোখে ও খুবই ভয়ানক ডাকু প্রকৃতির লোক, যাদের ভয়ে এলাকায় মুখ খোলেনা কেউ।
প্রতিনিয়ত তাদের ভয়ে তটস্থ গ্রামের লোকজন।
এমনকি তদন্তে ঘটনাস্থলে পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেও এদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস করেনা এলাকার লোকজন।
এদিকে ভুক্তভোগী সাংবাদিক চট্টগ্রাম নগরীতে কর্মরত বাংলা খবর পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ফয়সাল বলেন, এলাকার চিহ্নিত মাদক চোরা কারবারি, গাছচোর সিন্ডিকেট ও মাদকাসক্তদের সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি অপরাধী চক্র করইয়া নগর এলাকাকে মাদকের হাট এবং লুটপাটকারীদের অভয়ারণ্যে পরিনত করছে।
এই দুর্বৃত্তদের কারনে এলাকার আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি হয়েছে, দুর্বৃত্তদের ভয়ে সম্মান বাঁচাতে গ্রাম ছেড়ে শহরে পাড়ি জমাচ্ছে করইয়া নগর এলাকার অনেক বাসিন্দা।
তিনি এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এলাকাবাসী, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, ও সাতকানিয়া উপজেলা এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগীতা ও দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
